রিদুয়ানুল হক(ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি)
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়ার সাব ডাক ভবনটি প্রধান সড়কের পাশে হলেও সীমানা প্রাচীর ও গেট না থাকায় এতে যে কেউ সীমানায় প্রবেশ করে ব্যবসার মালামাল রাখছেন। কেউ বা গাড়ি পার্কিং করছেন। আর রাত নামলেই স্থানীয় যুবকেরা জুয়া ও মাদকের আসর বসায়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার রুহিয়া সাব ডাকঘরের পুরোনো ভবনের রাখা হয়েছে জ্বালানী কাঠ। আর পেছনের ভবনের চার পার্শ্বে বিভিন্ন দুর্গন্ধ ময়লা আবর্জনা ও ফেনসিডিলের বোতল যত্রতত্র ভাবে পড়ে আছে। এতে সহজেই বুঝা যায় যে প্রতি রাতেই এখানে মাদকের আসর বসে।
রুহিয়া পোষ্ট অফিস সূত্রে জানা যায়, গেল বছরের ২৬ আগষ্ট মাসে দিনাজপুর ডেপুটি পোষ্টমাস্টার জেনারেলের বরাবরে রুহিয়া সাব ডাকঘরের গেট ও সীমানা প্রাচীর নির্মাণ প্রসঙ্গে একটি আবেদন করেন সাব পোষ্ট মাস্টার মো: আমানুল হক।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, রুহিয়ার ডাক ভবনের চার পার্শ্বে নোংরা দুর্গন্ধ ময়লা আবর্জনায় মানুষ আসতে পারে না। অফিসের গেট ও প্রাচীর না থাকার কারনে বাজারের অনেকেই বিভিন্ন ময়লা আবর্জনা ফেলে আর রাতে মাদক সেবীরা এখানে আড্ডা দেয়। আর ভবনের চারপার্শে নোংরা অবস্থায় পড়ে থাকে অফিসের কেউ তা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে না। দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারকে গেট ও প্রাচীর নির্মাণের অনুরোধ জানান তারা।
রুহিয়া পোষ্ট মাস্টার মো: আমানুল হক জানান, অফিসের সামনে একটি গেট ও চার পাশে সীমানা প্রচীর আর নিরাপত্তা প্রহরী না থাকায় রাতে বেলায় স্থানীয় যুবকেরা এখানে আড্ডা দেয়। তবে গেট ও সীমানা প্রাচীর প্রয়োজন এই মর্মে সংশ্লিষ্ট দফতরে চিঠি দিয়েছি।
এবিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো: মনিরুল হক বাবু বলেন, পোষ্ট অফিসের গেট ও প্রাচীর না থাকায় অনেকেই এখানে আড্ডা দেয়। আর নেশা করার সুযোগ পাই। পোস্ট অফিসের সীমানা প্রাচীর ও গেট খুবই জরুরী হয়ে গেছে।
এব্যাপারে দিনাজপুর ডেপুটি পোষ্ট মাষ্টার জেনারেল মো. আজাদ আল সাম’স এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।