২৫তম আসরে এসেও কোন অর্থেই আন্তর্জাতিক হয়ে উঠতে পারেনি ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা। এমনকি ২০টি বিদেশি স্টল ও প্যাভিলিয়নে অংশ নেয়া ব্যবসায়ীদের প্রায় সবাই স্থানীয়। পণ্যের মান নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন ক্রেতারা। আয়োজক সংস্থা রপ্তানী উন্নয়ন ব্যুরো বলছে, স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় বিদেশি প্রতিষ্ঠানের নামেই বরাদ্দ দেয়া হয়েছে এসব প্যাভিলিয়ন।
গুলিস্তান বা নিউমার্কেটের ফুটপাতের দোকানের মতোই হাঁকডাকে মাত্র ১৩০ টাকায় নানা ধরনের তৈজসপত্র বিক্রি হচ্ছে বাণিজ্যমেলায়। জার্মান, মালয়েশীয়, মার্কিনি প্যাভিলিয়নেই মিলছে এমন পণ্য।
দেশীয় চিপস, খেলনা, আমদানি করা অলঙ্কার আর পোশাকের পসরাও চোখে পড়ছে, যেগুলো হরহামেশাই মেলে দেশের বাজারে।
একেকটা প্যাভিলিয়নকে বহু ভাগে বিভক্ত করে আবার ভাড়া দেয়া হয়েছে। প্রশ্ন হলো কিভাবে বিদেশি প্যাভিলিয়নে জায়গা পেলেন এই উদ্যোক্তারা।
কোনো কোনো প্যাভিলিয়নের সজ্জা দেখে বোঝার উপায় নেই এদের উদ্যোক্তা ও পরিচালনা পুরোপুরি দেশীয়। বিদেশি ব্যানার দেখে আসা ক্রেতারা কিছুটা হোঁচট খান পণ্যের ধরন ও মান দেখে।
তারা বলেন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার কোনো টেস্ট এখানে নেই। খুবই নিম্নমানের প্রোডাক্ট। মানুষকে ঠকানো ছাড়া কিছুই না। স্টল বিদেশি, প্রোডাক্ট দেশি।
হাতে গোণা কয়েকজন ভারতীয় প্রতিনিধি ছাড়া উল্লেখ করার মত বিদেশি উদ্যোক্তা বা অংশগ্রহণকারী চোখে পড়েনি বাণিজ্যমেলায়। তবে স্টল বা প্যাভিলিয়নের বরাদ্দ কেন বিদেশিদের নামে ?
এ প্রসঙ্গে ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান ফাতিমা ইয়াসমিন বলেন, আমার চোখে এমনটা পরেনি। খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে। আমাদের প্রসেস ছিলো তারা যে দেশের সে দেশ থেকে আবেদন করতে হবে। সে দেশ থেকেই টাকা পাঠাতে হবে।
আগামী বছর থেকে পূর্বাচলের স্থায়ী অবকাঠামোতে বাণিজ্যমেলার আয়োজন করা হলে মেলাকে অনেকটাই আন্তর্জাতিক রূপ দেয়া যাবে বলে মনে করেন এই কর্মকর্তা।